আনোয়ার হোছাইন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও সদর ইউনিয়নে নৌকার হাল ধরতে অর্ধডজন প্রার্থী মরিয়া হয়ে মাঠে চষে বেড়াচ্ছে। ইউনিয়নের গ্রামে-গঞ্জে শোভা পাচ্ছে বাহারী রঙের পোষ্টার-ব্যানার। উপজেলা, জেলা নেতাদের পাশাপাশি তৃণমূল নেতা কর্মীদের মনোরঞ্জনে দৌড়ঝাপের শেষ নেই এসব প্রার্থীদের। সরেজমিনে দেখা যায়, এবারই প্রথম দেশ জুড়ে স্থানীয় সরকার তথা ইউপি নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যার কারণে তফশীল ঘোষিত না হলেও সদর উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র ও বাণিজ্যিক এলাকা হিসাবে খ্যাত ঈদগাঁও সদর ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কে হচ্ছেন তা নিয়ে ভোটারদের মাঝে কৌতুহলের শেষ নেই। আবার নৌকার টিকেট নেওয়ার দৌড়ে প্রার্থী সংখ্যাও দিন দিন বেড়েই চলছে। যে যার মতো করে জনগণের কাছে নিজের গ্রহণ যোগ্যতা তুলে ধরতে নানা কলা কৌশলও প্রয়োগ করছে। সাথে দল ও অঙ্গ সংগঠনের তৃণমূল নেতা কর্মীদের কাছে টেনে উপজেলা ও জেলা নেতাদের কাছে নিজেকে দলের নিবেদিত ব্যক্তি হিসেবে প্রমাণের নিরলস প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত নৌকার হাল ধরার দৌড়ে যাদের দেখা যাচ্ছে তারা হল বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি সোহেল জাহান চৌধুরী, গত নির্বাচনের প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন তাহের চৌধুরী হিমু ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ছৈয়দ আলম। প্রথম দিকে এ তিনজনকে নৌকার হাল ধরার দৌড়ে দেখা গেলেও পরে আচমকা সদর উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হক চৌধুরী রিকো ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নুরুল আজিমও মাঠে নামেন। শেষদিকে এ দুজন নৌকার মাঝি হওয়ার দৌড়ে যুক্ত হয়ে প্রার্থী হওয়ার প্রতিযোগিতা নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত যেই নৌকার টিকেট পাক না কেন তাকে বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সাথে সাথে নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর মোকাবেলা ও করতে হতে পারে ধারণা করছেন সাধারণ ভোটাররা। কারণ বিরোধী দল সমর্থিত ও সাধারণ ভোটাররা এ নির্বাচনের ব্যাপারে দুদুল্যমান। তাই এসব সুবিধাভোগী ভোটার ও নিজ ইমেজকে পুঁজি করে উপরোক্ত সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে নৌকার টিকেট না পেলে যে কেউ বিদ্রোহী হিসেবে মাঠে থাকতে পারে বলে মত প্রকাশ করছে সচেতন ভোটাররা। তবে ক্ষমতাসীন দল ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা যে প্রার্থীর দ্বারা দল ও জনগণের উপকার হয় এমন কাউকে নৌকার প্রার্থী মনোনয়ন দিতে উপজেলা ও জেলা নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। শেষ পর্যন্ত কে নৌকার পাল উড়াতে পারে তা সময়ই বলে দেবে। এ পর্যন্ত ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ দফায় দফায় বৈঠক করেও একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় না দেয়ায় শেষ পর্যন্ত আওয়ামী পরিবারের দৃষ্টি কেন্দ্রের দিকেই আপাতত নিবদ্ধ বলে সর্বমহলে আলোচিত হচ্ছে।
পাঠকের মতামত: